নাউ স্টাডি বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গোতে ১৫ জন মহিলা অফিসারসহ বিমান বাহিনী শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন শুরু

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ৩টি কন্টিনজেন্টের মোট ৩৫৮ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন শুরু করেছে। এই শান্তিরক্ষী দলে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্ন-ই-লুৎফীসহ ১৫ জন মহিলা অফিসার।
প্রতিস্থাপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১১৫ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে আজ বৃহস্পতিবার (৩০-১১-২০১৭) কঙ্গোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে। সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন ও প্রশিক্ষণ) এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা আগামী ০৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কঙ্গো যাবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-১৫, এয়ার ফিল্ড সার্ভিসেস ইউনিট-১৫ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-৮ নিয়ে গঠিত যার নেতৃত্বে থাকবেন যথাক্রমে এয়ার কমডোর মোঃ জাহিদুর রহমান, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ শফিকুল ইসলাম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ শরীফুল ইসলাম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

উল্লেখ্য, কঙ্গোয় বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে ২৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার, বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি কঙ্গোগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে ঘাঁটি বাশার-এ ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান।
Share This