এই ব্যাপারটি একটি খুব কমন আলোচনার বিষয়। কোন দেশের প্রকৃত সামরিক শক্তি কখনই সেই দেশ প্রকাশ করে না। এটি টপ সিক্রেট বিষয়। আর যুদ্ধে জিততে কিন্তু শুধু সামরিক শক্তিই একমাত্র নিয়ামক নয়। এর সাথে আরও অনেক বিষয় জড়িত। আমি কোন সামরিক বিশ্লেষণ এখানে করব না। একজন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারের সাথে এই নিয়ে একদিন কথা হয়েছিল। ওনার বক্তব্য খুব ভাল লেগেছিল। সেটাই এখানে তুলে দিলাম
“প্রথমত বাংলাদেশের ভুমি প্রকৃতি এমন যে এখানে যারা আক্রমণ করতে আসবে তারা চলাচল ও জায়গা দখলের ক্ষেত্রে মারাত্নক সমস্যায় পড়বে। এজন্য বাংলাদেশকে বলা হয় “ DEFENDERS PARADISE ”. আমদের দেশে আর্মির সাতটি ডিভিশন আছে। সামরিক সুত্র অনু্যায়ী কমপক্ষে একুশটি ডিভিশন নিয়ে এখানে আক্রমণ করতে হবে। যা করতে গেলে এমনকি ভারতেরও পাকিস্তান এবং চীনের বর্ডার সংলগ্ন সেনানিবাস থেকে সৈন্য আনতে হবে, সীমান্ত প্রায় অরক্ষিত রেখে। যা তারা কখনই করতে চাইবে না।
এরপর যদি প্রচলিত যুদ্ধ ব্যাবস্থায় আমরা না পারি, তখন আমরা গেরিলা যুদ্ধ শুরু করব। যেমনটি আমরা করেছিলাম ১৯৭১ সালে। তখন আমাদের রেগুলার আর্মি ছিল না। শুধু আমরা কয়েকজন অফিসার আর বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আর্টিলারি রেজিমেন্টের সৈনিকেরা দেশের মানুষের সাথে মিলে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলাম এবং পাকিস্তানীদের পরাস্ত করেছিলাম। এরপরও না পারলে হবে টোটাল পিপলস ওয়ার, যেটির মাধ্যমে ভিয়েতনাম ইউ এস এর মত পরাশক্তিকে পরাজিত করেছিল।’’
সূত্রঃ
১। বাংলাদেশ আর্মির ওয়েবসাইট
২। বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তার সাথে কথোপকথনে প্রাপ্ত তথ্য
২। বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তার সাথে কথোপকথনে প্রাপ্ত তথ্য