সামরিক শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার মহা ব্যয় পরিকল্পনা
সূত্র:সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে আগামী ৯ বছরে ৬৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করবে রাশিয়া। এ অর্থে নিজেদের বহরে নতুন ১০০ যুদ্ধজাহাজ, ৬০০ যুদ্ধবিমান, এক হাজার হেলিকপ্টার ও ২০টি সাবমেরিন যুক্ত করবে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সশস্ত্র বাহিনীতে এই প্রথম এত বড় আকারের আধুনিকায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পোপোভকিন দাবি করেছেন, সেকেলে হয়ে যাওয়া সামরিক বহরকে আধুনিক যুগের উপযোগী করার জন্যই এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হবে। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে এত স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না। তাদের মতে, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক আধিপত্য ঠেকানোর কৌশল হিসেবেই অস্ত্রসম্ভার সমৃদ্ধ করছে রাশিয়া। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ পরিকল্পনা ঘোষণায় আরো বেশি উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা।
রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পোপোভকিন দাবি করেছেন, সেকেলে হয়ে যাওয়া সামরিক বহরকে আধুনিক যুগের উপযোগী করার জন্যই এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হবে। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে এত স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না। তাদের মতে, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক আধিপত্য ঠেকানোর কৌশল হিসেবেই অস্ত্রসম্ভার সমৃদ্ধ করছে রাশিয়া। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ পরিকল্পনা ঘোষণায় আরো বেশি উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা।
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমেরিকা, ব্রিটেনসহ প্রায় সব কয়টি পশ্চিমা শক্তিই তাদের সামরিক ব্যয় কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সেই মুহূর্তে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় অনেকগুণ বাড়ানোর বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে তারা। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়তে থাকায় আগামী বছরগুলোতে নিজেদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ব্যাপারে রাশিয়া আশাবাদী। তাই বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর সাহস দেখিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে পোপোভকিন জানান, ২০২০ সালের মধ্যে কেবল সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন বাবদ ৬৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগ অর্থই ব্যয় হবে নৌ ও বিমানবাহিনীকে উন্নত করার জন্য। ৬০০ নতুন যুদ্ধবিমানের বেশির ভাগই হবে আধুনিক এসইউ-থারটি ফোর ও এসইউ-থারটি ফাইভ বিমান। আর নতুন এক হাজার হেলিকপ্টারের মধ্যে থাকবে আধুনিক এমআই-টুয়েন্টি সিঙ্ ও এমআই-এইট কপ্টার। নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি ১০০ যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও যুক্ত হবে চারটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী। নতুন ২০টি সাবমেরিনের মধ্যে আটটির পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতা থাকবে। নতুন সরঞ্জামের মধ্যে কতগুলো বিদেশ থেকে কেনা হবে এবং কতগুলো রাশিয়া নিজেরা তৈরি করবে, তা স্পষ্ট করেননি পোপোভকিন। তবে তিনি জানিয়েছেন, দুটি বিমানবাহী রণতরী রাশিয়াই তৈরি করবে। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে দুটি মিসথ্রাল রণতরী কেনারও চুক্তি করেছে দেশটি।
গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়ার সামরিক বহরের দুর্বলতার কথা প্রকাশিত হচ্ছিল। গত বছর দেশটির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা মস্কো টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মাত্র ১০ শতাংশকে আধুনিক বলা যায়। এ কারণে সরকারের ওপর সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য চাপ বাড়ছিল। গত সপ্তাহেই অর্থমন্ত্রী অ্যালেঙ্ইে কুদরিন ঘোষণা দেন, আগামী বছর থেকে রাশিয়ার জিডিপির দেড় শতাংশ ব্যয় করা হবে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য। বর্তমানে এ খাতে ব্যয় হয় জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে রাশিয়ার বিশ্লেষকরা এই বড় আকারের আধুনিকায়ন পরিকল্পনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একদল বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এর ফলে সোভিয়েত আমল থেকে বিচ্ছিন্ন ও সম্পূর্ণ নতুন চেহারার একটি রুশ বাহিনী তৈরি হবে। একই সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রের ওপরও দেশটির নির্ভরতা কমবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, রুশ বাহিনীর এখন যে অবস্থা তাতে কেবল আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করলেই তাদের দুর্বলতা কাটবে না। যথার্থ প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ না করলে এ বিপুল অর্থের ব্যয় বিফলে যাবে বলে তাদের দাবি।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ।
তবে রাশিয়ার বিশ্লেষকরা এই বড় আকারের আধুনিকায়ন পরিকল্পনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একদল বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এর ফলে সোভিয়েত আমল থেকে বিচ্ছিন্ন ও সম্পূর্ণ নতুন চেহারার একটি রুশ বাহিনী তৈরি হবে। একই সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রের ওপরও দেশটির নির্ভরতা কমবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, রুশ বাহিনীর এখন যে অবস্থা তাতে কেবল আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করলেই তাদের দুর্বলতা কাটবে না। যথার্থ প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ না করলে এ বিপুল অর্থের ব্যয় বিফলে যাবে বলে তাদের দাবি।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ।