গুটিকয়েক হেডকোয়ার্টারে কর্মরত অফিসার ছাড়া ইউনিটে কর্মরত সকল সেনা অফিসারদের (লেফটেন্যান্ট কর্নেল পর্যন্ত) সকালে পিটি এবং বিকালে গেমস সহ সব ধরণের প্রশিক্ষনে সেনাসদস্যদের সাথে অংশগ্রহন করা বাধ্যতামূলক। এজন্যই অন্য যে কোন বাহিনীর থেকে সেনাবাহিনীতে সৈনিক ও অফিসারদের মধ্যে কমরেডশীপ বেশি, কারণ তারা এক সাথে কষ্ট করে।
(এখানে খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও কমরেড শীপের অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে শহিদ লেফটেন্যান্ট মুশফিক যিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের একমাত্র বীর উত্তম, তার কথা বলা যায়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীর হাত থেকে তার সাথে থাকা সৈনিকদেরকে বাঁচানোর জন্য মরণপন লড়ে গেছেন।
আজও অনেক সেনা তার কথা বলতে গিয়ে চোখের জলে বুক ভাসায় )।
শুধু তাই না একজন অফিসারকে এছাড়া প্রতি বছর দুইবার সব অফিসারকেই শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষার অনেকগুলো আইটেমের মধ্যে শুধু দুইটি আইটেমের কথা বলি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৩ কিলোমিটার ও ১৬ কিলোমিটার দৌড়। বুঝতেই পারছেন, ফিটনেস না থাকলে আপনার আমার পক্ষে এইগুলো করা সম্ভব না। এছাড়াও প্রতি বছর এদের ওজন নেয়া হয়।
শারীরিক যোগ্যতা আর ওজন নিয়ন্ত্রনে না রাখতে পারলে পদোন্নতি চিরতরে বন্ধ সহ বিভিন্ন শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা নেয়া হয়। কাজেই নিজেদের প্রয়োজনেই সাধারণত কোন অফিসারই ফিটনেসের সাথে কম্প্রোমাইজ করে না।