নাউ স্টাডি বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন, ছবিগুলো দেখবেন এবং পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন প্লিজ)


(সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন, ছবিগুলো দেখবেন এবং পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন প্লিজ)
.
রাত আটটা।
পার্বত্য এলাকার একটি আর্মি ক্যাম্পে হঠাৎ ব্যস্ততা।
কয়েকটি দল প্রস্তুত, কমান্ডিং অফিসারের নির্দেশ পেলেই আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল যাত্রা শুরু করবে একটি অপারেশনে।
গন্তব্য সম্পর্কে শুধু টিম লিডাররা জানে, গোয়েন্দা সুত্রে খবর এসছে অদূর এক জনমানবহীন এলাকায় ক্যাম্প করেছে একটি সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
সেই গ্রুপটিই একটি এলাকায় নিরীহ পাহাড়িদের কাছে চাঁদা না পেয়ে জিম্মি করে রেখেছে বেশ কয়েকজনকে! গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে - "জিম্মিকৃত পাহাড়িদের স্বজনদের হুমকি দেয়া হয়েছে, চাঁদা না দিলে মেরে ফেলা হবে তাদের।
আস্তানার লোকেশন চারিদিক থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিত, সেনাবাহিনী এট্যাক করলে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
এদিকে নির্দেশ হচ্ছে "যেভাবেই হোক পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের এই দলটিকে জীবিত ধরতে হবে!! এদের ধরতে পারলে ওদের সেরা কয়েকজন বড় বড় সন্ত্রাসীর অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে সেনাবাহিনী। যেসব সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিতে খুন করছে সাধারণ পাহাড়িদের!!"
রাত সাড়ে আটটায় মিসেস হকের মোবাইলে তার ছেলে, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ (সিক্রেট নেম) এর একটা কল এসেছে -- "আম্মা, ছয়-সাত দিনের জন্য ক্যাম্প থেকে বাইরে যাইতাছি, একটা ফিল্ড পরীক্ষা আছে তো, তাই!! দোয়া কইরেন আম্মা........."
.
অতঃপর, সারারাত এবং পরের দিন হেঁটে পরেরদিন রাত তিনটার সময় সেনাবাহিনীর একটি অপারেশন, ব্যাপক গোলাগুলি,
গুলাগুলিতে আমাদের সেই ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ সহ সেনাবাহিনীর দুইজন মারাত্মক আহত, জিম্মিকৃত সাধারণ কয়েকজন পাহাড়িকে নিরাপদে উদ্ধার, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কছ থেকে পাহাড়ে চাঁদাবাজির কিছু রসিদ হস্তগত, প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার,
টাকা, মোবইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার, 
এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে ছয়জনকে জীবিত ধরা সম্ভব হয়েছে।
.
ঘটনার চারদিন পর ক্যাপ্টেন বাংলাদেশকে দেখা গেল সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার পরিবারের সদস্যরা এসেছে তাকে দেখতে।
"আম্মা, আর বইলেন না। আমরা কয়েকজন মিলে দুস্টামি কইরা গাছে উঠতে গেছিলাম তো, হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম!! হাতে আর বুকে ব্যাথা পাইছি, আর তেমন ব্যাথা পাইনি, সব ঠিক হইয়া যাইব দুইদিনে।
নো টেনশন আম্মা......
রেশমীর জন্য ঐ শাড়িটা কিনছেন? বেচারি একটু শখ কইরা কিনতে চাইছে, 
আমার একমাত্র পিচ্চি বোন....... শাড়িটা কিনেই দেননা আম্মা, প্লিজ........."
.
মিসেস হক কিছু বললেন না, শাড়ির আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে ভাবলেন - "ছেলেটা ভাবছে আমি কিছুই বুঝিনা, আমি তো মা,
আমি না বুঝলে কে বুঝবে?
নিশ্চয়ই কোন অভিযানে গিয়ে গুলি খেয়েছে! থাক, ওকে এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করব না।
থাক কিছু কথা গোপন, সব কথা মাকেও বলতে নেই, 
ছেলে বড় হয়েছে না? তার একটা প্রাইভেসি আছে না??
ছোট্ট সেই ছেলেটা কত বড় হয়েছে!!"
এবার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেললেন ক্যাপ্টেনের আম্মা...............
কত আবেগ জড়ানো কান্না, একজন দেশপ্রেমিকের একজন গর্বিত মায়ের কান্না।
চলুক না এমন আবেগি কান্না.........
এমন মা আর ছেলেরা আছে বলেইতো নিরাপদে ঘুমায় দেশের কত মা আর তার সন্তান..............
স্যালুট বাংলাদেশ আর্মি.........
স্যালুট.....
~~ Bangladesh Army Magazine
Share This