নাউ স্টাডি বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ

  • রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটান শহর গুলো ছাড়া সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে পৃথক পৃথক রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রেঞ্জের নেতৃত্বে আছেন একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)। তিনি তার অধীনস্থ জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে সাতটি প্রশাসনিক বিভাগে সাতটি রেঞ্জ এবং রেলওয়ে ও হাইওয়ে পুলিশ নামে দুটি স্বতন্ত্র রেঞ্জ আছে।
  • জেলা পুলিশের অধিকর্তা হলেন সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ (এসপি)।
  • প্রতিটি জেলায় সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশকে সহযোগিতার জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ পদায়ন করা হয়।
  • প্রত্যেকটি পুলিশ ডিষ্ট্রিক্ট এক বা একাধিক সার্কেলে বিভক্ত থাকে। সার্কেলের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে একজন সহকারী সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।
  • প্রত্যেকটি পুলিশ সার্কেল কয়েকটি থানার সমন্বয়ে গঠিত। একজন পুলিশ পরিদর্শক থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার অধীনে বেম কজন সাব-ইন্সপেক্টর পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশী আইনে একমাত্র সাব-ইন্সপেক্টর পদধারী অফিসার কারও বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করতে পারেন।
  • প্রত্যেকটি রেঞ্জের অধীনে নিজস্ব রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স(আরআরএফ) এবং জেলা পুলিশের অধীনে নিজস্ব স্পেশাল আর্মড ফোর্স(এসএএফ) জরুরী অবস্থা, বেআইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা মোকাবেলার জন্য মেইনটেইন করে থাকেন। এরা পুলিশ সুপার অথবা তদোর্ধ কর্মকর্তার নির্দেশে মোতায়েন হয়। সশস্ত্র কনস্টবলদের এই বাহিনী সাধারন পুলিশি কর্মকান্ড পরচালনায় ব্যবহৃত হয় না। তাদের ভিআইপি দের নিরাপত্তা রক্ষা সংক্রান্ত কর্তব্য, মেলা, উৎসব, খেলাধুলোর ঘটনা, নির্বাচন, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোতায়েন করা হয়। ছাত্র বা শ্রমিক অসন্তোষ, সংগঠিত অপরাধ, এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কী গার্ড পোস্ট বজায় রাখা এবং বিরোধী সন্ত্রাসী অভিযানেও এদের ব্যবহার কার হয়।
Share This